আপনারা যারা ভিজিট ভিসা নিয়ে সুইডেন যেতে আগ্রহী তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। সুইডেনের ভিজিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।
জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সুইডিশ জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর এ কারনে সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ উন্নত জীবনের লক্ষ্যে আজ সুইডেনে পাড়ি জমাচ্ছে। কিছু সংখ্যক যাচ্ছে পড়াশুনা অথবা ব্যবসায়িক কাজে আর কিছু সংখ্যক মানুষ যাচ্ছে কেবলমাত্র প্রযুক্তির শিখরে অবস্থানকারী দেশটিকে ঘুরে দেখতে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক সুইডেনের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন।
সুইডেনের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া: ব্যবসায়িক এবং কনফারেন্সের কাজে, স্বল্পকালীন ভ্রমনে অথবা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য সুইডেন যেতে আগ্রহী ব্যক্তিকে ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সুইডেন ইউরোপের সেনজেন এলাকা ভুক্ত দেশ হওয়ায়, ৯০ দিন বা এর চেয়ে কম সময়ের জন্য সুইডেন যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের মাধ্যমে সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আর ভিসার মেয়াদ যদি ৯০ দিনের বেশি প্রয়োজন হয় তবে ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা’র (visa for longer stays) আবেদন করতে হবে। ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা’ কে ‘ডি’ টাইপ ভিসা অথবা জাতীয় ভিসা (National Visa) বলা হয়। এই ‘ডি’ টাইপ ভিসার মেয়াদ সর্বচ্চো এক বছর।
ভিসার ক্যাটাগরী: ব্যবসায়িক এবং কনফারেন্স ভিসা (Business and Conference Visa)। ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa)। আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার ভিসা (Visiting Family and Friends Visa)।
ব্যবসায়িক এবং কনফারেন্স ভিসা (Business and Conference Visa): ব্যবসায়িক কাজে সুইডেন যেতে চাইলে বিজনেস ভিসা অথবা সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসার মেয়াদ ৩ মাস। যদি ৩ মাসের বেশি সময় প্রয়োজন হয় তবে দূতাবাসে কারণ উল্লেখ করে নির্ধারিত ফর্মের মাধ্যমে ‘বসবাসের অনুমোদনপত্র (residence permit) অথবা ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা’র (visa for longer stays) আবেদন করতে হবে। ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা’ কে ‘ডি’ টাইপ ভিসা বলা হয়।
সুইডেনের বিজনেস ভিসার আবেদনের নিয়ম: পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি থাকতে হবে) সেনজেন ভিসা ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন ফর্মটি সুইডেন দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন অথবা সুইডেন দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সুইডেনে অবস্থিত যে কোম্পানির কাছে ব্যবসায়িক কাজে যেতে হবে, সেই কোম্পানির আমন্ত্রণপত্র ভিসার আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। আবেদনকারীর নিজস্ব তথ্য, সুইডেনে যাওয়ার তারিখ ও সুইডেন থেকে ফিরে আসার তারিখ, ব্যবসায়িক কাজের ধরণ, সুইডেনে থাকাকালীন যে ব্যক্তি আপনাকে সাহায্য করবে (ব্যবসায়িক অংশীদার অথবা সুইডেনে অবস্থানরত আত্মীয়) ‘ভিসা আবেদনকারীদের জন্য প্রশ্নাবলী’ (Questionnaire for visa applicants) ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করে আবেদন ফর্মটির সাথে জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট, ভ্রমণের অন্যান্য কাগজপত্র এবং এগুলোর ফটোকপি আবেদনকারীর ছবি: সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (৩৫ মি.মি. x ৪৫ মি.মি.), ছবি অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে, ছবিতে আবেদনকারীর সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে, মাথায় কোন প্রকার টুপি অথবা মাথায় বাঁধার ফিতা অথবা পাগড়ি অথবা কাপড় থাকা যাবেনা। শুধু মাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্রে রাখা যেতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে।
ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে, যা জরুরী ডাক্তারি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা সহ অন্যান্য সেবার খরচ বহন করতে পারবে। ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্স কমপক্ষে ৩০০০০ ইউরো (২৫,১৭,৫৬৫ টাকা) এর হতে হবে। ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্সের পরিমাণ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল। আবেদনের সময় সুইডেন দূতাবাস থেকে জেনে নিতে পারেন।
ট্যুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa): ভ্রমণের জন্য সুইডেন যেতে চাইলে ভ্রমণ বা ট্যুরিস্ট ভিসা অথবা সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসার মেয়াদ ৩ মাস। যদি ৩ মাসের বেশি সময় প্রয়োজন হয় তবে দূতাবাসে কারণ উল্লেখ করে নির্ধারিত ফর্মের মাধ্যমে ‘বসবাসের অনুমোদনপত্র (residence permit) অথবা ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভ্রমণ ভিসা’র (visa for longer stays) আবেদন করতে হবে। ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা’ কে ‘ডি’ টাইপ ভিসা বলা হয়।
সুইডেনের ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম: পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি থাকতে হবে) সেনজেন ভিসা ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন ফর্মটি সুইডেন দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন অথবা সুইডেন দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভ্রমণকারীর পরিবারের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এজন্য ‘পরিবার সম্পর্কীয় বিবরণ ফর্ম’ (Family Appendix for Applicants) সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর ছবি: সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (৩৫ মি.মি. x ৪৫ মি.মি.)ছবি অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে, ছবিতে আবেদনকারীর সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে মাথায় কোন প্রকার টুপি অথবা মাথায় বাঁধার ফিতা অথবা পাগড়ি অথবা কাপড় থাকা যাবেনা। শুধু মাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্রে রাখা যেতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে।
কি উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করতে চান তার কাগজপত্র, হোটেল বুকিং এর কাগজ অথবা কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে তার কাগজপত্র।আবেদনকারী কি কাজ করেন তার প্রমাণপত্র। যেমন – আবেদনকারী চাকরি করেন নাকি পড়াশুনা। ভ্রমণ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে কিনা তার প্রমাণপত্র (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)। ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে, যা জরুরী ডাক্তারি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা সহ অন্যান্য সেবার খরচ বহন করতে পারবে। ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্স কমপক্ষে ৩০০০০ ইউরো (২৫,১৭,৫৬৫ টাকা) এর হতে হবে। ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্সের পরিমাণ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল। আবেদনের সময় সুইডেন দূতাবাস থেকে জেনে নিতে পারেন।
আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার ভিসা (Visiting Family and Friends Visa): আত্মীয় বা বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য সুইডেন যেতে চাইলে আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার ভিসা অথবা সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসার মেয়াদ ৩ মাস। যদি ৩ মাসের বেশি সময় প্রয়োজন হয় তবে দূতাবাসে কারণ উল্লেখ করে নির্ধারিত ফর্মের মাধ্যমে ‘বসবাসের অনুমোদনপত্র (residence permit) অথবা ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা’র (visa for longer stays) আবেদন করতে হবে। ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা’ কে ‘ডি’ টাইপ ভিসা বলা হয়।
সুইডেনের আত্মীয় ও বন্ধুদের সাথে দেখা করার ভিসার আবেদনের নিয়ম: পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৩ মাসের বেশি থাকতে হবে) সেনজেন ভিসা ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। ভিসার জন্য আবেদন ফর্মটি সুইডেন দূতাবাস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন অথবা সুইডেন দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট ও ভ্রমণের অন্যান্য কাগজপত্র এবং তার ফটোকপি: ভ্রমণকারীর পরিবারের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এজন্য ‘পরিবার সম্পর্কীয় বিবরণ ফর্ম’ (Family Appendix for Applicants) সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর ছবি: সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (৩৫ মি.মি. x ৪৫ মি.মি.) ছবি অবশ্যই রঙ্গিন হতে হবে, ছবিতে আবেদনকারীর সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে, মাথায় কোন প্রকার টুপি অথবা মাথায় বাঁধার ফিতা অথবা পাগড়ি অথবা কাপড় থাকা যাবেনা। শুধু মাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্রে রাখা যেতে পারে কিন্তু সম্পূর্ণ মুখ স্পষ্ট বোঝা যেতে হবে।
সুইডেনে বেড়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণপত্র। কোন তারিখে বেড়াতে যেতে চান এবং কোন তারিখে সুইডেন থেকে ফিরবেন তা ‘আমন্ত্রণ ও প্রশ্নাবলী’ (Invitation and Questionnaire) ফর্মে সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে ভ্রমণকারীর পরিবারের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। এজন্য ‘পরিবার সম্পর্কীয় বিবরণ ফর্ম’ (Family Appendix for Applicants) সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে, যা জরুরী ডাক্তারি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা সহ অন্যান্য সেবার খরচ বহন করতে পারবে। ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্স কমপক্ষে ৩০০০০ ইউরো (২৫,১৭,৫৬৫ টাকা) এর হতে হবে। ট্র্যাভেল ইন্সুরেন্সের পরিমাণ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল। আবেদনের সময় সুইডেন দূতাবাস থেকে জেনে নিতে পারেন।
সুইডেনে যাওয়ার ফ্লাইট বুকিং ডকুমেন্ট: আবেদনকারী যে আত্মীয় বা বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাবেন, সেই আত্মীয় বা বন্ধু যদি সুইডেনে বসবাসরত হন তবে তার সুইডেনে বসবাসের প্রমাণপত্র যেমন– স্থানীয় আয়কর অফিস (Local Tax Office) অথবা সুইডিশ ন্যাশনাল ট্যাক্স বোর্ড (Swedish National Tax Board) এর ওয়েবসাইট থেকে প্রমাণপত্র সংগ্রহ করে আবেদনকারীর ভিসা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। আবেদনকারী কি কাজ করেন তার প্রমাণপত্র। যেমন – আবেদনকারী চাকরি করেন নাকি পড়াশুনা। চাকরি করলে চাকরির প্রমাণপত্র, বেতনের পরিমাণ, ব্যাংক বই এর কপি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে ভ্রমণ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে কিনা তার প্রমাণপত্র (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)।
#Sweden #Bangladesh #stockholm #Dhaka #swedentravel #visa #europe #swedish #visiting #schengen #SchengenArea #schengenvisa #schengenvisainfo #schengenworkvisa #schengencountries #schengenworkpermit #sweden #netherlands
1 Comment
Nice article. Good Job Edumap